
এই পাতাটি সম্পাদনা করেছেন মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বংশীকুন্ডা কলেজের ছাত্র তাহসিন আহমেদ আমির, তরুণ উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল মার্কেটার।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
অবস্থান এবং সীমানাঃ হাওর বাওর,সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলাধীন ০২ নং বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়ন অবস্থিত। বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন তাহিরপুর উপজেলাধীন শ্রীপুর (দঃ) ইউনিয়ন, পশ্চিমে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলাধীন কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন, উত্তরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বংশীকুন্ডা (উঃ) ইউনিয়ন ও দক্ষিণে চামরদানী ইউনিয়ন অবস্থিত। ইউনিয়নটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে রামসার সাইট ঘোষিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ও সম্পদে ভরপুর সম্ভবনাময় হাওর পর্যটন কেন্দ্র “টাংগুয়ার হাওর” এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত।
ইতিহাসঃ বংশীকুন্ডা নামটি এসেছে অত্র অঞ্চলের একসময়ের জমিদার বংশী বদন চৌধুরীর “কুন্ড” বা “জলাধার” নামানুসারে। পূর্বে বংশীকুন্ডা উত্তর ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ এই দুটি ইউনিয়ন একত্রে বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন ছিল। পরবর্তীতে ইউনিয়নটির সীমানা বড় বিধায় একস্থানে বসে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভবনা বিধায় এটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি হলো ০১ নং বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন আর অপরটি ০২ নং বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই ০২ নং বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন ৪৬ টি গ্রাম নিয়ে অবস্থিত। এছাড়াও এই ইউনিয়নের মধ্যেদিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী “মনাই নদী”। যে নদীতে একসময় বর্ষাকালে নৌকা বাইচ হতো, নদীরপাড়ে জমতো গ্রাম্য মেলা। এছাড়াও ছোটবড় ৮ টি বিল, ৪টি খাল, ১টি হাওড় ও ০২টি নদী রয়েছে এই ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নে যুগে যুগে অনেক গুনীব্যক্তিজন জন্মগ্রহণ করেছেন যার মধ্যে প্রথমদিকে বংশী বদন চৌধুরী, পরবর্তীতে মরহুম আরমুজ আলী তালুকদার, মরহুম আইয়ুব আলী তালুকদার, মরহুম আক্কেল আলী তালুকদার, মরহুম আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, মোঃ আবুল হোসেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন সময়ে সচিব মরহুম আঃ গণি সাহেব প্রমূখ। বর্তমান প্রজন্মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে তথ্য সচিব জনাব মুরতুজা আহম্মেদ, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন,ইউএনও আশিকনূর,এএসপি সম্রাট তালুকদার,এএসপি ডলি রাণী সরকার প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ এই ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও এই ইউনিয়নে রয়েছেন অসংখ্য কবি, লেখক।লেখক, কবিদের মধ্যে ঔপন্যাসিক মিরাজ উদ্দিন,ছড়াকার মঞ্জুর মোহাম্মদ,হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ সরকার,জহিরুল ইসলাম,গল্পকার জেনারুল ইসলাম,শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।রয়েছে গুনি শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, বাউল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।সাংবাদিকতায় রয়েছে আল-আমিন আহমদ সালমান। ইউনিয়নটি হাওর অঞ্চলে অবস্থিত বিধায় তাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি যথা: ধামাইল, জারী, সারি ও বাউলগান। এই ইউনিয়নে রয়েছে বিভিন্ন অলি আউলিয়ার মাজার শরীফ। রয়েছে ২ টি কলেজ, ০২টি হাইস্কুল, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩১টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল ও বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র।
আয়তন এবং জনসংখ্যাঃ বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন এর আয়তন- ৭৩ বগ কি.মি জনসংখ্যা মোট নারী ও পুরুষ- ৩০৩০৩।
পেশা ও শিক্ষাঃ বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন এর মানুষ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে শিক্ষিত লোকের চেয়ে কৃষকের সংখ্যা অধিক। এই অঞ্চলের কৃষক, জেলে ও শ্রমিক তাদের সন্তানদের কে শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয় পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকেই ছেলেমেয়েদেরকে পাঠদান শেখানো হয়। পারিবারিক অভাব এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা থেকে অনেকেই ঝরে পড়ে। কারোর বাল্যবিবাহ হয়ে যায় কেউবা অভাবের জন্য গার্মেন্টসে চলে যায় আবার কেউ মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা মেটায়। নিচে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের তালিকা দেওয়া হলঃ
০ বংশীকুন্ডা কলেজ
০ বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদালয়
০ গড়াকাটা আব্দুল খালেক মডেল হাই স্কুল
০ লায়েস ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এছাড়াও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষার হার : ৬০%
দর্শনীয় স্থানঃ টাংগুয়ার হাওর।
বিঃ দ্রঃ তথ্য সংগ্রহ চলছে। প্রয়োজনে বার বার তথ্য আপডেট করা হবে। সাথেই থাকুন। তথ্য প্রকাশ করতে চাইলে ইমেইল করুনঃ tahsinahmedamir@gmail.com